শেখর কুমার সান্যাল
জন্ম বাংলাদেশের নাটোরে ১৯৪২ সালের ১০ এপ্রিল। অধ্যাপনা করেছেন নাটোর নওয়াব সিরাজ-উদ দৌলা সরকারি কলেজ, গাইবান্ধা সরকারি কলেজ, পিরোজপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজ ও পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে। প্রফেসর, ‘হিসাববিজ্ঞান’ হিসেবে ২০০০ সাল থেকে অবসরে। বর্তমানে কানাডার ক্যালগেরী প্রবাসী। ভারত, আমেরিকা ও কানাডায় দীর্ঘ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রকাশিত গ্রন্থ ভারত ভ্রমণকাহিনি ‘পর্যটকের ডায়েরি’ (২০১০), আমেরিকা ও কানাডা ভ্রমণকাহিনি ‘মহাসিন্ধুর ওপারে’ (২০১৫) এবং শরণার্থী জীবনের স্মৃতিকথা ‘একাত্তরে পথে প্রান্তরে’ (২০১৮)। প্রকাশ করেছে ‘কথাপ্রকাশ’। বাংলাদেশ, আমেরিকা, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বাংলা পত্রিকায় নিয়মিত লেখেন।
শেখর কুমার সান্যাল-এর বইসমূহ

একাত্তরের পথে প্রান্তরে

মহাসিন্ধুর ওপারে

পর্যটকের ডায়েরি
শেখর কুমার সান্যাল’র লেখাসমূহ
-
একজন নভোচারীর সাথে প্রাতরাশ
উন্মাদনায় ভরা কাউবয় জীবনের রোমাঞ্চময় ঐতিহ্য স্মরণে প্রতি গ্রীষ্মে জুলাই মাসের প্রথমার্ধে দশদিন ব্যাপী জাঁকজমকপূর্ণ এক উৎসবের আয়োজন হয় ক্যালগেরী শহরে। কানাডীয়ান ওয়েস্টের কেন্দ্রে ম্যাজেস্টিক রকি মাউন্টেইন থেকে মাত্র ঘন্টাখানেকের দূরত্বে ক্যালগেরী শহরে সমস্ত পৃথিবী মিলিত হয় বুনো পশ্চিমের (Wild West) সাথে। ওয়েস্টার্ন হেরিটেজ উদ্যাপনের এই আয়োজন ‘ক্যালগেরী স্ট্যামপিড’ নামে ভুবনবিখ্যাত।
-
অন্য এক মানস সরোবর ‘লেক ল্যুইস’
ব্যাম্ফ থেকে ট্রান্সকানাডা হাইওয়ে-১ ধরে ছাপ্পান্ন কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে লেক ল্যুইসে পৌঁছে গেলাম ঘন্টাখানেকের মধ্যে। পার্কং স্পেস থেকে লেক পর্যন্ত বনময় পথে সামান্য হাঁটতে হলো। হিমবাহের পটভূমিতে অসামান্য সুন্দর হ্রদটি দেখে বিস্ময়াবিষ্ট হয়ে গেলাম। লেক ল্যুইস সম্ভবত এই অঞ্চলের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন হ্রদ।
-
হেরিটেজ পার্ক হিস্টোরিক্যাল ভিলেজ
ভিলেজের সব রাইড টিকিট মূল্যের মধ্যে। ডান পাশে প্রথমেই ‘গ্যাসোলিন এ্যালী’। আকর্ষণীয় ভিনটেজ কার, বিভিন্ন পেট্রোল কোম্পানির কাছ থাকে পাওয়া চমকপ্রদ সব গাসোলিন পাম্প ও এতদ্ সম্পর্কিত অন্যান্য আর্টিফ্যাক্টসের সহস্রাধিক স্মরণীকা আইটেমের সংগ্রহ নিয়ে উত্তর আমেরিকায় বৃহত্তম অটোমোবাইল মিউজিয়াম। ‘বেঙ্গল গ্যাসোলিন’ নামে একটা পোস্টার দেখলাম।
-
ক্যালগেরী পাবলিক লাইব্রেরি
“মহাসমুদ্রের শত বৎসরের কল্লোল কেহ যদি এমন করিয়া বাঁধিয়া রাখিতে পারিত যে, সে ঘুমাইয়া-পড়া শিশুটির মতো চুপ করিয়া থাকিত, তবে সেই নীরব মহাশব্দের সহিত এই লাইব্রেরির তুলনা হইত। এখানে ভাষা চুপ করিয়া আছে, প্রবাহ স্থির হইয়া আছে, মানবাত্মার অমর আলোক কালো অক্ষরের শৃঙ্খলে কাগজের কারাগারে বাঁধা পড়িয়া আছে। … … লাইব্রেরির মধ্যে আমরা সহস্র পথের চৌমাথার উপরে দাঁড়াইয়া আছি।
-
‘শ্রীচৈতন্যদেব’: একটি সমীক্ষা
গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্ম ও ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের বৈষ্ণবধর্মের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে এবং সে বৈশিষ্ট্য শ্রীচৈতন্যদেবকে কেন্দ্র করে বিবর্তিত হয়েছে। ঈশ্বর যেখানে ‘বজ্রাদপি কঠোরাণি’ সেখানে তিনি ভক্তির পাত্র নন, ভীতির পাত্র। যেখানে তিনি ‘মৃদুনি কুসুমাদপি’ সেখানে তিনি রসময়, অর্থাৎ ভক্তি ও প্রেমের ঘনীভূত সত্তা। প্রেমের এই নিগূঢ় তত্ত্ব ব্যাখ্যা সাপেক্ষ নয়, অনুভূতিবেদ্য। জ্ঞানমার্গ সাধারণ মানুষের সহজগম্য নয়। ভক্তিমার্গ সহজতর বিকল্প। শ্রীচৈতন্য মানুষকে দেখিয়েছেন ভক্তিমার্গের পথ।