সুশীল কুমার পোদ্দারের “অবলাচরণ”

সুশীল কুমার পোদ্দারের “অবলাচরণ”

সুশীল কুমার পোদ্দারের লেখা ‘অবলাচরণ’ বইটি পড়তে পড়তে অনেক কথা মনে এলো। কোনটা আগে, কোনটা পরে লিখব তা ভেবে পাচ্ছি না। তার ওপরে সুশীল প্রযুক্তিবিদ্যায় সারা পৃথিবী থেকে এত এত ডিগ্রি অর্জন করে আর জীবনের সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার পরেও বাংলা ভাষায় এত দক্ষতার সাথে লিখতে পারে, তার জন্য সময় করে নিতে পারে – আমি তাই দ্বিধাগ্রস্ত।    

হীরকজয়ন্তী: সুব্রত কুমার দাস গ্রন্থ প্রসঙ্গে

হীরকজয়ন্তী: সুব্রত কুমার দাস গ্রন্থ প্রসঙ্গে

বইটিতে অনেক গুণীজন লিখেছেন। প্রতিটি লেখা আন্তরিক ও মূল্যবান। গ্রন্থের সম্পাদকীয় নিবেদন পরিপাটি ও ছিমছাম। এতে সুব্রত কুমার দাসের বর্ণময় জীবন নিয়ে একটি স্পষ্ট আভাস পাওয়া যায়। সম্পাদক মহোদয় শেষাংশে লিখেছেন, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে দৃশ্যমান হচ্ছে কিছু কিছু অপূর্ণতা।‘ এমনটা ঘটা স্বাভাবিক বলে মনে করি। তবে গ্রন্থ প্রকাশ হবার আগেই ধরা পড়ায় পরিশ্রম ও বিলম্ব হলেও দূর করার সুযোগ ছিল বলেও আমার মনে হয়।

অনুভবের বিভূতিতে এক সুখপাঠ্য আলোকিত রচনা

অনুভবের বিভূতিতে এক সুখপাঠ্য আলোকিত রচনা

একজন মানুষের মধ্যে একা একা আলো ধরা দেয় না। পারিবারিক ও পারিপার্শ্বিক শিক্ষা, স্কুল-কলেজের পাঠ ও সাহচর্য এবং সমৃদ্ধ মানুষের কাছ থেকে পাওয়া দর্শন ও সান্নিধ্য মানুষকে পরিণত করে তোলে। মানুষের অনুভূতিগুলোকে নাড়া দিতে সর্বাধিক অবদান রাখেন আলোকিত মানুষেরা তাদের দর্শন ভাবনা দিয়ে। এবং এই আলোকিত মানুষদের অন্তর্দৃষ্টির সঙ্গে বিনিসুতোর বন্ধন তৈরি করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো তাদের লেখা বই।

ইয়েটস নিয়ে প্রশংসনীয় বাংলা গ্রন্থ

ইয়েটস নিয়ে প্রশংসনীয় বাংলা গ্রন্থ

বিশ শতকের বিশ্বসাহিত্য গগনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জ্যোতিষ্ক উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস (১৮৬৫–১৯৩৯) একাধারে কবি, নাট্যকার, আইরিশ সিনেটর এবং উদ্যমী সংগঠক। ‘লাস্ট রোমান্টিক’ হিসাবে সাহিত্যাঙ্গনে আত্মপ্রবেশ করলেও ক্রমাগত কাব্যধারার বাঁক পরিবর্তন করে পরবর্তীতে বাস্তবতা ও পরাবাস্তবতা এবং জীবন বোধ ও বৈশ্বিক বীক্ষার সংমিশ্রনে রচনা করেন অনুপম শৈলীসমৃদ্ধ আধুনিক কবিতা যার আবেদন সার্বজনীন ও কালজয়ী। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন ১৯২৩ সালে।

কাব্যগ্রন্থ “মনকল্প”: একটি পাঠ পর্যালোচনা

কাব্যগ্রন্থ “মনকল্প”: একটি পাঠ পর্যালোচনা

কবি আপন খেয়ালে তার মনের একান্ত ভাবনাগুলি যখন বর্ণিল-স্বপ্নিল-সুবাসিত বর্ণের শব্দফুলে গেঁথে দেন তখনই সেটা হয় কবিতা। আর রিণি রিণি শব্দমালার সেই কবিতা হয়ে যায় পাঠকের সম্পত্তি, তখন আর সেটি কবির নিজস্ব সম্পদ নয়। আর এভাবেই কোনো কোনো কবি হয়ে ওঠেন কালজয়ী; তাদের লেখা উত্তীর্ণ করে যায় কাল-সময়-যুগ, দৃষ্টান্ত হয়ে রয়। কবিরা আসলে শব্দের যাদুকর; শব্দের কারিগর। কবি রূদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ নিজেকে শব্দ শ্রমিক বলতেন। একটি সহজ সরল …

‘সপ্রতিভ’: মানব চরিত্রের সুপ্ত সত্তারই অন্বেষণ

‘সপ্রতিভ’: মানব চরিত্রের সুপ্ত সত্তারই অন্বেষণ

একটি ভালো উপন্যাস সম্পর্কে অনেকগুলো বিখ্যাত উপন্যাসের জনক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে বলেছেন, “All good books have one thing in common – they are truer than if they had really happened.” আজকের আলোচ্য উপন্যাস ‘সপ্রতিভ’ পড়তে গিয়েও পাঠকের ভেতরে উপন্যাসের চরিত্রগুলোর অনুভূতির সংক্রমণ ঘটবে। সঞ্চারিত হবে আবেগের উত্থান-পতন। মনে হবে ঘটনাগুলো যেন সত্যি ঘটে যাচ্ছে। চরিত্রের দুঃখবোধে পাঠকের চোখেও জল গড়াবে কিংবা মুখে মৃদু হাসি ছড়িয়ে পড়বে।

পাঠ পর্যালোচনা: আমার সময় আমার পথ

পাঠ পর্যালোচনা: আমার সময় আমার পথ

আকবর হোসেনের “আমার সময়: আমার পথ” বইটি পড়তে গিয়ে অনুভূতির হাজার দুয়ার খুলে যায়। প্রকৃত অর্থে এই পুস্তকের পর্যালোচনা করা খুব সহজ কাজ নয়; এতো বহুমাত্রিক চিন্তা-চেতনার কথা বিধৃত হয়েছে এই গ্রন্থে যা পুরোপুরি তুলে আনাও অনেকাংশে কঠিন। এটি একপ্রকার আত্মজীবনী, আবার পুরোপুরি আত্মজীবনী নয়ও। বইয়ের নামকরণের দিকে খেয়াল করলেই সহজে বোঝা যায় যে এটি কোন সাধারণ গল্প বা উপন্যাস নয়। এসেছে লেখকের একান্তই নিজের ভাবনা, যা অতি সাধারণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিসরে জন্মলাভ করেও লেখকের হৃদয়ে গেঁথে গিয়ে এই বইয়ে জায়গা করে নিয়েছে; এবং পেয়েছে দুইমলাটের ঠিকানা।

কর্মময় এক জীবনের আলেখ্য

কর্মময় এক জীবনের আলেখ্য

সুব্রত কুমার দাস টরন্টোবাসী এক সদাহাস্যময়, সাহিত্যানুরাগী, প্রজ্ঞাবান ব্যক্তির নাম। তিনি তার আপন প্রতিভা বলে মাত্র দশ বছরেই উত্তর-আমেরিকায় বাংলা ভাষাভাষী সংস্কৃতি-অঙ্গনে এক বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছেন। বললে ভুল হবে তার এ অবস্থান শুধু বাংলা সংস্কৃতির মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়, তিনি  কানাডীয় সংস্কৃতির মূলধারাতেও নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন। এছাড়াও সংস্কৃতির বিবিধ অঙ্গনে রয়েছে তার অবাধ পদচারণা। টেলিভিশনের পর্দায় তাকে কখনও দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ নিয়ে, কখনও নজরুল, কখনও চৈতন্যদেব, কখনও কানাডীয় সাহিত্য, আবার কখনও মহাভারত নিয়ে আলোচনা করতে। তার মনোজ্ঞ আলোচনায় উঠে আসে ঘটনার পেছনের নিগুঢ় ঘটনা, দেখার বাইরে কতো না-দেখা জগতের খোঁজ, শোনার বাইরেও কতো অশ্রুত বাণী।

উৎস থেকে পরবাস: সুখপাঠ্য এক আত্মকথন

উৎস থেকে পরবাস: সুখপাঠ্য এক আত্মকথন

বাংলাদেশে থাকাকালীন লেখকের শিক্ষাজীবন, পেশাগত জীবন, তাঁর  গ্রন্থপ্রীতি, ধীরে ধীরে তাঁর সাহিত্যিক হয়ে ওঠার ইতিবৃত্ত, ক্যানাডায় এসে প্রাথমিক স্ট্রাগল কাটিয়ে এখানকার মূলস্রোতের সাহিত্যের আঙ্গিনায় তাঁর প্রবেশ, রাইটার্স ইউনিয়ন অফ ক্যানাডা, টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল অফ অথর্স-এর সাথে যুক্ত হওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো উঠে এসেছে আলাপনের প্রাথমিক পর্যায়ে। এরই মধ্যে ফ্ল্যাশব্যাকের মতো এসেছে লেখকের ছেলেবেলার গল্প, এসেছে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা, উদ্বাস্তু হয়ে কোলকাতায় চলে যাবার কথা, সেখানে গিয়ে তাঁর স্কুলজীবন শুরুর কথাও বলা হয়েছে সবিস্তারে।  স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে কিশোর সুব্রত কুমার দাস কেমন ক’রে ‘বাঁশরী’ নামের একটি লাইব্রেরি শুরু করলেন সেই মজার কাহিনিও বলা হয়েছে আলাপনের প্রথম দিকে।   

উৎস থেকে পরবাস: কর্মময় এক জীবনের বয়ান

উৎস থেকে পরবাস: কর্মময় এক জীবনের বয়ান

“উৎস থেকে পরবাস” লেখক সুব্রত কুমার দাসের আত্মজৈবনিক কথোপকথন গ্রন্থ।  সুব্রত কুমারের সাথে কথোপকথনটি করেছেন দেবাঞ্জনা মুখার্জি ভৌমিক। আর সে কারণে বইয়ের প্রচ্ছদে দেবাঞ্জনার নামের আগে  “আলাপনে” শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। বইটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেবাঞ্জনার বিভিন্ন প্রশ্নের  উত্তর দিয়েছেন লেখক সুব্রত কুমার দাস। লক্ষণীয় যে,  দেবাঞ্জনার প্রশ্নগুলি কালানুক্রমিকভাবে সাজানো হয়েছে। ফলে সুব্রত কুমারের দেয়া উত্তরগুলি একটি আত্মজৈবনিক গ্রন্থে রূপ নিয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে ঢাকার মূর্ধন্য প্রকাশনী।  ইতোমধ্যে বইটি এ বছরের ঢাকা, কোলকাতা ও আগরতলা বইমেলায় উপস্থাপিত হয়েছে।

সুব্রত কুমার দাসের ‘উৎস থেকে পরবাস’: নতুন এক অভিজ্ঞতার সন্ধান

সুব্রত কুমার দাসের ‘উৎস থেকে পরবাস’: নতুন এক অভিজ্ঞতার সন্ধান

২০২১ সালে সারা কানাডায় যে ২৫ জন শ্রেষ্ঠ অভিবাসীর ৭৫ জনের যে সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশিত হয় তার মধ্যে লেখক, গবেষক ও সংগঠক সুব্রত কুমার দাস একজন। তাঁর আত্মজীবনীমুলক গ্রন্থ ‘উৎস থেকে পরবাস’ পড়লাম। পুরো বইটিই বিভিন্ন সময়ের ফোনালাপন সাক্ষাৎকার। এই বইটি পাঠ ছিল আমার এক নতুন অভিজ্ঞতা। দেবান্জনা মুখার্জি ভৌমিকের সহজ, সরল, বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্নের মাধ্যমেই শ্রদ্ধেয় সুব্রত কুমার দাস বর্ণনা করেছেন তাঁর শিকড় থেকে বেরিয়ে এসে এখন পর্যন্ত শাখা প্রশাখায় বেড়ে উঠার গল্প।

উপন্যাসের শিল্পরূপ

উপন্যাসের শিল্পরূপ

বাংলাদেশের কয়েকজন ঔপন্যাসিক বইটি দশজন ঔপন্যাসিকের মৌল প্রবণতা, জীবনঘনিষ্ঠ ও সমাজনিরীক্ষাধর্মী শিল্পদর্শন, চরিত্র নির্মাণ ও মনো-বিশ্লেষণ, নিসর্গপ্রকৃতি ও মানবজীবন- সর্বোপরি সমকালীন কথাসাহিত্যে তাঁদের মান ও অবস্থান, কাহিনী বিন্যাসের বয়নদক্ষতা ও বর্ণিত বিষয়ের অন্তরালে আভাসিত বিষয়গুলো সুব্রত কুমার দাস তুলে এনেছেন। ঔপন্যাসিক অন্তর্ভুক্তি প্রশ্নে গ্রন্থকারের নিবেদন:গ্রন্থটি কোনক্রমেই বাংলাদেশের প্রধান বা নির্বাচিত ঔপন্যাসিকদের নিয়ে রচিত নয়। পাঠ পরিক্রমায় যে সকল লেখক সাম্প্রতিক অতীতে পুরোপুরি বা প্রয়োজনীয় ব্যাপকতায় আমার সামনে উপস্থিত হয়েছেন তাঁরাই এতে অন্তর্ভুক্ত।