কানাডার জীবন নিয়ে এক বাঙালি মেয়ের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা

কানাডার জীবন নিয়ে এক বাঙালি মেয়ের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা

ইংরেজি প্রবন্ধকার ফ্রান্সিস বেকন  তাঁর  ‘অব স্ট্যাডিজ’ প্রবন্ধে বলেছেন যে, একটা ভালো বই পাঠককে আনন্দ দেয়, তার মানসিক উৎকর্ষ বৃদ্ধি করে এবং যোগ্যতা বাড়ায়। ড. ঝর্ণা চ্যাটার্জীর ‘একটি বাঙালি মেয়ের কানাডার জীবন কাহিনী’ পড়তে গিয়ে আমার উপরের কথাগুলো মনে পড়ছিল। বইটি আমার এত ভালো লেগেছে যে বলতে গেলে একদম না থেমে বইটি প্রথমবার আমি শেষ করেছি এবং কয়েকবার থেমে দ্বিতীয়বার শেষ করেছি।

জীবনের অন্তিম লগনে পৃথিবীর পশ্চিম গগনে 

জীবনের অন্তিম লগনে পৃথিবীর পশ্চিম গগনে 

সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠতে পারে কানাডার অভিবাসীদের সম্বন্ধে বলার ব্যাপারে আমি উপযুক্ত ব্যক্তি কি না। কারণ জীবনের প্রারম্ভে বা মধ্য গগনে আমি তো কানাডায় অভিবাসী হয়ে আসিনি। এসেছি প্রায় জীবনের অন্তিম লগনে, অর্থাৎ ৭০ বছর বয়সে। কানাডার অভিবাসী জীবনের অম্লমধুর অভিজ্ঞতাও  আমার জীবনে  বিশেষ নেই। আমি এখানে এসেছি ভারতবর্ষে আমার কর্মজীবন শেষ করে, প্রায় অনেকটা অতিথির মতো। সত্যি কথা বলতে গেলে, ওই হিসেবে আমার তো কানাডার অভিবাসী জীবনের কোনো প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নেই। শুধু পরোক্ষ অভিজ্ঞতা, অর্থাৎ যারা এখানে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম করেছেন তাদের অভিজ্ঞতার কথা শুনে।