• কর্মময় এক জীবনের আলেখ্য

    সুব্রত কুমার দাস টরন্টোবাসী এক সদাহাস্যময়, সাহিত্যানুরাগী, প্রজ্ঞাবান ব্যক্তির নাম। তিনি তার আপন প্রতিভা বলে মাত্র দশ বছরেই উত্তর-আমেরিকায় বাংলা ভাষাভাষী সংস্কৃতি-অঙ্গনে এক বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছেন। বললে ভুল হবে তার এ অবস্থান শুধু বাংলা সংস্কৃতির মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়, তিনি  কানাডীয় সংস্কৃতির মূলধারাতেও নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন। এছাড়াও সংস্কৃতির বিবিধ অঙ্গনে রয়েছে তার অবাধ পদচারণা। টেলিভিশনের পর্দায় তাকে কখনও দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ নিয়ে, কখনও নজরুল, কখনও চৈতন্যদেব, কখনও কানাডীয় সাহিত্য, আবার কখনও মহাভারত নিয়ে আলোচনা করতে। তার মনোজ্ঞ আলোচনায় উঠে আসে ঘটনার পেছনের নিগুঢ় ঘটনা, দেখার বাইরে কতো না-দেখা জগতের খোঁজ, শোনার বাইরেও কতো অশ্রুত বাণী।

  • উৎস থেকে পরবাস: সুখপাঠ্য এক আত্মকথন

    বাংলাদেশে থাকাকালীন লেখকের শিক্ষাজীবন, পেশাগত জীবন, তাঁর  গ্রন্থপ্রীতি, ধীরে ধীরে তাঁর সাহিত্যিক হয়ে ওঠার ইতিবৃত্ত, ক্যানাডায় এসে প্রাথমিক স্ট্রাগল কাটিয়ে এখানকার মূলস্রোতের সাহিত্যের আঙ্গিনায় তাঁর প্রবেশ, রাইটার্স ইউনিয়ন অফ ক্যানাডা, টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল অফ অথর্স-এর সাথে যুক্ত হওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো উঠে এসেছে আলাপনের প্রাথমিক পর্যায়ে। এরই মধ্যে ফ্ল্যাশব্যাকের মতো এসেছে লেখকের ছেলেবেলার গল্প, এসেছে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা, উদ্বাস্তু হয়ে কোলকাতায় চলে যাবার কথা, সেখানে গিয়ে তাঁর স্কুলজীবন শুরুর কথাও বলা হয়েছে সবিস্তারে।  স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে কিশোর সুব্রত কুমার দাস কেমন ক’রে ‘বাঁশরী’ নামের একটি লাইব্রেরি শুরু করলেন সেই মজার কাহিনিও বলা হয়েছে আলাপনের প্রথম দিকে।   

  • সুব্রত কুমার দাসের ‘উৎস থেকে পরবাস’: নতুন এক অভিজ্ঞতার সন্ধান

    ২০২১ সালে সারা কানাডায় যে ২৫ জন শ্রেষ্ঠ অভিবাসীর ৭৫ জনের যে সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশিত হয় তার মধ্যে লেখক, গবেষক ও সংগঠক সুব্রত কুমার দাস একজন। তাঁর আত্মজীবনীমুলক গ্রন্থ ‘উৎস থেকে পরবাস’ পড়লাম। পুরো বইটিই বিভিন্ন সময়ের ফোনালাপন সাক্ষাৎকার। এই বইটি পাঠ ছিল আমার এক নতুন অভিজ্ঞতা। দেবান্জনা মুখার্জি ভৌমিকের সহজ, সরল, বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্নের মাধ্যমেই শ্রদ্ধেয় সুব্রত কুমার দাস বর্ণনা করেছেন তাঁর শিকড় থেকে বেরিয়ে এসে এখন পর্যন্ত শাখা প্রশাখায় বেড়ে উঠার গল্প।