• কানাডীয় সাহিত্য- বিচ্ছিন্ন ভাবনাঃ সামাজিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য

    বাংলা ভাষাভাষী পাঠকের বিশ্ব সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ কম নয়। বিশ্ব সাহিত্য আস্বাদনে বাঙালি পাঠকের মূল ভরসা বাংলায় অনুবাদ ও ইংরেজদের ঔপনিবেশিক শাসন সূত্রে লব্ধ ভাষা ইংরেজি রচনার মাধ্যমে। অন্য কোনো ভাষায় দখল সম্পন্ন বাঙালির সংখ্যা খুবই কম বলে সেসব ভাষার মূল রচনা থেকে পাঠের সুযোগ সীমিত অল্প কিছু মানুষের মধ্যে।

  • কানাডীয় সাহিত্যের পরিচয় ও সূত্রসন্ধান

    ইংরেজি সাহিত্যের একজন ছাত্র হিসেবে অ্যাকাডেমিক কোর্স/ পাঠ্যের সঙ্গে আমরা আমেরিকা এবং ইউরোপ মহাদেশের মহান সব কবি-সাহিত্যিকের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। আমাদের নিত্যদিনের পাঠ-পঠনে আফ্রিকান সাহিত্যের কিছুটা সন্ধান পাওয়া  গেলেও ‘কানাডিয়ান সাহিত্য’কে কোনোদিনই আলাদা করে শনাক্ত করতে পারিনি। বিশ্বসাহিত্যের উন্মুক্ত প্রান্তরে, উত্তর আমেরিকা থেকে শুরু করে ইউরোপ হয়ে দক্ষিণ এশিয়া মহাদেশের প্রজ্ঞাবান অধ্যাপকদের মুখে কানাডিয়ান সাহিত্যের বিস্ত‍ৃত ভা-ারের সন্ধান কেউ পেয়েছেন কিনা আমার সন্দেহ হয়। 

  • ভিনদেশি সাহিত্যের চক্রব্যুহ ভেদের কথা

    প্রাবন্ধিক ও গবেষক সুব্রত কুমার দাস ২০১৩ সালে কানাডা প্রবাসী হয়েছেন স্বপরিবারে। বাংলাদেশে থাকাকালীন নজরুল ও রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য ও জীবনী নিয়ে বিস্তর কাজ করেছেন। প্রবাস জীবনের রূঢ় বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে আর যাই হোক কেউ সেই দেশের সাহিত্যের রস আস্বাদন করবে সেটা ভাবা যায় না কিংবা এটাও ভাবা যায় না সেই সাহিত্য নিয়ে প্রবন্ধ-নিবন্ধ লেখার প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও।

  • বিশাল কানাডার সাদৃশ্যস্বরূপ এর সাহিত্যের ভান্ডার

    ১৬২৮ সালে লন্ডন থেকে প্রকাশিত রবার্ট হেইম্যানের ‘কুয়োডলিবেটস’-কে বলা হয় কানাডার প্রথম কাব্যসৃষ্টি। এরপর ১৭৬৯ এর ‘দ্য হিস্ট্রি অব এমিলি মন্টেগু’ – ক্যানলিটের প্রথম উপন্যাস যার স্রষ্টা ফ্রান্সেস মুর ব্রুক। ১৯০৬ সালে টরন্টো থেকে আর্চিবল্ড ম্যাকমার্চি প্রকাশ করেন ‘হ্যান্ডবুক অব কানাডিয়ান লিটারেচার’। কানাডিয়ান সাহিত্য নিয়ে প্রকাশিত প্রথম কোন সহায়ক বই ছিল এটি!

  • মহাভারতের নিবিড় পাঠ

    মহাভারতকে বলা হয়ে থাকে  শ্রুতিরূপ জোৎস্না, বলা হয়ে থাকে পঞ্চমবেদ। এতে এই মহাকাব্যটির প্রচ্ছদ মোড়া হয়ে যায় ধর্ম-ভাবুকতায়। আবার মহাভারতকে ইতি-আস অর্থাৎ ইতিহাস রূপেও তাঁর চরিত্রকে শনাক্ত করা হয়ে থাকে। সুব্রত কুমার দাস মহাভারতকে বলেছেন, আমার মহাভারত। আমার মহাভারত মানে যা তাঁর নিজস্ব অধীত বিদ্যার ফল তাই তিনি পরিবেশন করেছেন প্রজ্ঞার পানপাত্রে।

  • মহাভারত নিয়ে প্রশংসনীয় গ্রন্থ

    অনুসন্ধানী লেখক সুব্রত কুমার দাস তাঁর জীবানচরণের নীরিক্ষাধর্মী বহুমাত্রিক আলোচনার ঘনত্বে মেপে গ্রন্থখানি রচনা করেছেন। এখানে চেতনাবোধের নান্দনিকতা যেন সহজবোধ্য ও সরল শিল্পের টেরাকোটা। ধর্ম, ইতিহাস ও সাহিত্যের অন্তরলোক অভিনব শব্দের কাঠামোর ঐশ্বর্যে মোড়া ঐতিহ্য পুরাণ প্রত্যয় দ্বারা সংযুক্ত। নির্দ্বিধায় অনেক তথ্যের সমৃদ্ধি সম্ভারে সরল পরিমার্জনে এঁকেছেন প্রবন্ধের অনুসন্ধিৎসু শিল্পরূপ।

  • মম কাজীর অনুবাদে ‘চড়ুই’

    কবি আলবার্ট ফ্যাঙ্ক মারিৎজ, কানাডার বহুল পরিচিত একজন কবি। তিনি নির্বাহী সম্পাদক, প্রকাশক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করেছেন। ১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯০ সালে গুগেনহেইম ফেলোশিপ পান – কবিতার জন্য । ওর কবিতা প্রিন্সটন সিরিজ কনটেম্পোরারি পোয়েটসে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ২০০৫ সালে কবিতার জন্য রিলিট পুরস্কার, ২০০৯ সালে গ্রিফিন কবিতা পুরস্কার এবং ২০১৩ সালে রেমন্ড সাউস্টার পুরস্কার বিজয়ী।

  • অশ্বেত বিদেশি

    স্যার বড় বড় চোখ করে খুব উৎসাহের সাথে যখন ঝর্ণা চ্যাটার্জী সম্পর্কে বলছিলেন, তখন তাঁর  অজান্তেই আমি বুঝেতে পেরেছিলাম তিনি এক দুর্লভ রত্নের সন্ধান পেয়েছেন। লেখক নয় বরং ব্যক্তি ঝর্ণা চ্যাটার্জীর সম্পর্কে জানার একটা তৃষ্ণা বোধ করতে থাকি। তাই যখন জানতে পারলাম তাঁর লেখা “একটি বাঙালী মেয়ের কানাডার জীবন- কাহিনী” স্যারের হাতে এসে পৌঁছেছে তখন আর লোভ সামলাতে পারলাম না। একটি কপি সংগ্রহ করলাম। এরপরে কোনও এক অলস দিনে বইটি খুলে যে হাতে নিলাম – একদম ব্যাক পেজের ঝর্ণা চ্যাটার্জীর সৌম্য মুখদর্শনের আগে আর নামিয়ে রাখতে পারলাম না। 

  • কানাডার জীবন নিয়ে এক বাঙালি মেয়ের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা

    ইংরেজি প্রবন্ধকার ফ্রান্সিস বেকন  তাঁর  ‘অব স্ট্যাডিজ’ প্রবন্ধে বলেছেন যে, একটা ভালো বই পাঠককে আনন্দ দেয়, তার মানসিক উৎকর্ষ বৃদ্ধি করে এবং যোগ্যতা বাড়ায়। ড. ঝর্ণা চ্যাটার্জীর ‘একটি বাঙালি মেয়ের কানাডার জীবন কাহিনী’ পড়তে গিয়ে আমার উপরের কথাগুলো মনে পড়ছিল। বইটি আমার এত ভালো লেগেছে যে বলতে গেলে একদম না থেমে বইটি প্রথমবার আমি শেষ করেছি এবং কয়েকবার থেমে দ্বিতীয়বার শেষ করেছি।

  • ঝর্না চ্যাটার্জী : একজন বিদুষীর গল্প

    দেখতে দেখতে কানাডাতে আসার ত্রিশ বছর হয়ে গেল। অথচ, মনে হয় এই তো সেদিন, সেপ্টেম্বর মাসের এক রৌদ্রকরোজ্জ্বল দুপুরে লণ্ডনের হিথ্রো এয়ারপোর্ট থেকে উড়ে, পুরো সময়টা আটলান্টিক মহাসাগরের উপর দিয়ে এসে সেদিন বিকেলেই টরন্টো পিয়ারসন্সে নামলাম। সময় কত দ্রুত চলে গেল! কত প্রিয় মুখ, কত প্রিয়জন, কত শ্রদ্ধেয়জন এই পৃথিবী থেকেই চিরতরে হারিয়ে গেলেন। রেখে গেলেন সারাজীবন বহন করে রাখার জন্য অমূল্য সব স্মৃতির সম্ভার!

  • অতনু দাশ গুপ্তের কানাডার পথ ও রথের বৃত্তান্ত

    অনেক আগ্রহ নিয়ে অতনু দাশ গুপ্তের লেখা ও আমাকে ভালবেসে উপহার দেওয়া ‘কানাডার পথ ও রথ’ বইটি পড়ে শেষ করলাম। কানাডাতে নবাগত যারা, যারা প্রথম থেকেই কাজের অফার নিয়ে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিচিং অথবা রিসার্চ এ্যাসিস্ট্যান্টশিপের রক্ষাকবচ নিয়ে আসেননি, তাদের জন্য এই বইটি অবশ্য-পাঠ্য বলে মনে হলো।

  • গ্রন্থালোচনা: ‘গহিন দহনে গাহন’

    সুজিত কুসুম পাল কবি চয়ন দাস ‘দিবা রাত্রি’ পথ চলেছেন ‘সকাল বেলার সূর্যালোকে’। কখনো ‘দুপুর বেলার রৌদ্রতাপে’ কিংবা ‘সন্ধ্যা বেলায় ইমন রাগে’। কালের অভিবাসকে অতিক্রম করে ‘দিন আর রাতের মিলন মেলায়’ নির্মাণ করেছেন ‘শ্যামল ছায়ায় কোমল মায়ায় স্বর্গ সুখের বাড়ি’। পরক্ষণেই কবি তাঁর স্বপ্নের বাড়ি থেকে বের হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন…

  • হে মহাজীবন- গ্রন্থ পর্যালোচনা

    মানসী সাহা মুক্তচিন্তক ও দার্শনিক আকবর হোসেন মনের মাধুরী মিশিয়ে সততার দলিল হিসেবে রচনা করছেন একটি বিশুদ্ধ আত্মজীবনী “হে মহাজীবন”। ​​কলকাতার ঋতবাক থেকে প্রকাশিত ১৮৩ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থটি (২০১৯) বাংলা ভাষায় রচিত অন্যতম আত্মকথন বলে আমি মনে করি। অত্যন্ত চমৎকার ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি প্রচ্ছদ করেছেন সৌম্য ব্যানার্জি। ধূসর রঙের আঁচড়ে…

  • পাহাড়চূড়া ছোঁয়ার গল্প ‘স্বপ্নের ইমিগ্রেশন’

    সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর চিৎকারে যন্ত্রণা থাকে … নাকি থাকে আনন্দ? এই প্রশ্নের কোন সর্বজনগৃহীত উত্তর জানা না গেলেও একথা অনস্বীকার্য যে সৃষ্টিতে আনন্দ থাকলেও তার শুরুটা হয় যন্ত্রণা দিয়ে। সেই যন্ত্রণা কিছুটা প্রকাশিত হয়, কিন্তু অনেকটাই আবার অজানা থেকে যায়। নতুনদেশ কানাডাতে বাস করতে আসা তমাল আর তিথির নতুন জীবন গড়ার আনন্দ-বেদনা, জয়-পরাজয় আর পাওয়া না-পাওয়ার গল্প নিয়ে উপন্যাস জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিনের ‘স্বপ্নের ইমিগ্রেশন’। দেশে-বিদেশে, অতীতে বা বর্তমানে জীবন কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ নয়। কন্টকময় পথে হেঁটে রক্তাক্ত পায়ে যারা উঠে দাঁড়ায়,  তারাই পাহাড়চূড়া ছুঁতে পারে। হিন্দি প্রবাদ আছে ‘যো জিতা ওহি সিকান্দার’।  নতুন দেশে বাস করতে আসা অভিবাসীদের তাই সকল বৈচিত্র্য মেনে নিয়ে, সকল আঘাত সহ্য করে এগুতে হয় এবং একই সাথে নিজেকে গড়ে নিতে হয় নতুন করে। তখনই কেবল স্বপ্ন রূপ নেয় বাস্তবতায়।   

  • অটিসম কোনো অভিশাপ নয় একটি সময়োপযোগী গ্রন্থ

    বিজ্ঞান প্রতিদিন এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাচ্ছে চিকিৎসাশাস্ত্র। আর তাই মনের রোগ আর শরীরের রোগ এখন আলাদা করেই নির্ণয় করা হচ্ছে। মনের রোগ নিয়ে কাজ করতে গিয়েই মানুষের একটি বিশেষ মানসিক গঠনের সাথে বিজ্ঞানীদের পরিচয় হয়।এই মানসিক গঠনটি যাদের থাকে তাদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। এই বাধাগ্রস্ততাকে অটিসম বলে। অটিসম কোনো রোগ নয়, এটি একটি বিশেষ মানসিক গঠন। কাজেই এটি শতভাগ নিরাময়ের কোনো ওষুধ না থাকার কারনে থেরাপির মাধ্যমে সমস্যাক্রান্ত ব্যক্তিকে স্বাভাবিক জীবন যাপনের উপযুক্ত রাখার ব্যবস্থা করা হয়।

  • স্বপন বিশ্বাসের ‘কুড়াই পথের নুড়ি’- ভ্রমণের ছোটগল্প

    সাহিত্যিক আনন্দের পাশাপাশি নতুন কোনো স্থানের ভৌগোলিক বিবরণ, ইতিহাস, স্থানটির সামাজিক রীতিনীতি, মানুষের জীবনযাত্রা ও আরও অনেক তথ্য জানার সুযোগ করে দেয়ার মাধ্যমে ভ্রমণ সাহিত্য ধীরে ধীরে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৯০ সালে মা সারদাকে প্রণাম করে তাঁর ভ্রমণ শুরু করেন। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদিগকে ভ্রমণ করিতেই হইবে, আমাদিগকে বিদেশ যাইতেই হইবে … যদি আমাদিগকে যথার্থই পুনরায় একটি জাতিরূপে গঠিত হইতে হয়, তবে অপর জাতির চিন্তার সহিত আমাদের অবাধ সংস্রব রাখিতেই হইবে।’ স্বামীজীর এই বাণীর মর্মকথায় আছে ভ্রমণের অনুপ্রেরণা ও আব্যশিকতা। একারণেই ভ্রমণকে 

  • ননী গোপাল দেবনাথের কানাডা নিয়ে বই

    নাগরিক সুবিধা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, শিক্ষার সুব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবার মান, লিঙ্গসমতা, জননিরাপত্তা, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা প্রভৃতিসহ আরো বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পরিমাপ মানদণ্ডের ভিত্তিতে কানাডা বিশ্বের অন্যতম বাসযোগ্য দেশ। দেশটির শিশুজন্মহার নিম্নগামী হওয়ায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মাধ্যমে কানাডা অন্যান্য দেশ থেকে প্রতিবছর অভিবাসী গ্রহণ করে থাকে। তাই প্রতিবছর বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বহু মানুষ কানাডায় এসে স্থায়ী বসতি স্থাপন করে। এছাড়াও কানাডা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক বা মানবিক বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আপদকালীন সহায়তা প্রদানসহ দীর্ঘমেয়াদি সহাযতা প্রদান করে সুনাম অর্জন করেছে। ফলে কানাডা সম্পর্কে বাঙালি পাঠকের আগ্রহ অপরিসীম এবং প্রতিনিয়তই এই আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

  • কাজী হেলালের কবিতায় ইতিহাস

    চেতনায় উজ্জ্বল উদ্দীপনা আর মগজের কোষে ছড়িয়ে থাকা ঘটনা প্রবাহকে হৃদয়ের আবেগ আর ভালবাসা দিয়ে একসাথে গেঁথে কবিতায় প্রকাশ করতে পারেন কাজী হেলাল। কবিতায় ইতিহাস উপস্থাপন বিষয়টি নিয়ে কবি টি এস এলিয়ট ‘ট্র্যাডিশন এন্ড দ্যা  ইন্ডিভিজুয়াল ট্যালেন্ট’ (Tradition and the Individual Talent) প্রবন্ধে বলেছেন ‘যদিও সমসাময়িক ঐতিহাসিক বোধ অস্থায়ী, কিন্তু এই উপাদানটিই একজন লেখককে ঐতিহ্যগত করে তোলে এবং একইসাথে এটিই একজন লেখককে সময়ের সাথে তার স্থান সম্পর্কে, তার নিজের সমসাময়িকতা সম্পর্কে সবচেয়ে তীব্রভাবে সচেতন করে তোলে’ কাজেই আধুনিক সচেতন মানুষ যখন সাহিত্য রচনা করেন, সেই সাহিত্যে সমকালীন ইতিহাস ছায়া ফেলে; লেখক যে সময়ে বাস করেন, সেই সময়টিই লেখকের লেখায় জীবন্ত হয়ে ওঠে।

  • ইয়েটসের নারী ও নিকুঞ্জ

    তাসমিনা খান ইংরেজি সাহিত্যের একনিষ্ঠ সাধক, গবেষক সুজিত কুসুম পাল পরিশুদ্ধ ও বিমুগ্ধ নেত্রে আর মননে অবলোকন করেছেন আইরিশ কবি উইলিয়াম বাটলার ইয়েটসের জীবনী। ইয়েটসের জীবনী নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে লেখা বই ইয়েটসের কবিতায় নারী ও নিকুঞ্জ ২০১৬ সালে টরন্টোর বেঙ্গলি লিটারারি রিসোর্স সেন্টার (বিএলআরসি) থেকে প্রকাশিত হয়। ইংরেজি সাহিত্যের…

  • রোকসানা পারভীন শিমুলের নদীর দুইপারের মানুষের গল্প

    প্রতিদিনের যাপিত জীবনের আশেপাশে অনেক গল্প থাকে। সেসব গল্প কখনও চোখে দেখা যায়, কখনও কানে শোনা যায়, আবার কখনও কখনও সেই গল্প অনুভূতির দরজায় কড়া নেড়েও যায়। একজন লেখক সেই সব কাহিনি সাদাকালো অক্ষরে লিখে রাখেন যা পাঠককে দেয় স্বপ্নের মতো গল্পের জগৎ, দেয় নতুন ভাবনা। রোকসানা পারভীন শিমুল নদীর মতো বয়ে চলা জীবনের দুই কূলে বাস করা মানুষের সুখ-দুঃখ-আনন্দ-বেদনার আখ্যান লিখেছেন তাঁর ‘গল্পগুলো মনের তাকে ছিল’ গ্রন্থে। বইটিতে মোট ১৫টি ছোটগল্প আছে যেখানে উঠে এসেছে স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প, বাবা-মায়ের জন্য সন্তানের ভালবাসার আঁকুতি, শশুড়বাড়ির আত্মীয়দের ভালমন্দ ব্যবহারের চিত্র, পরিবার আর সমাজের নিষ্ঠুর নিয়মের কষাঘাতে ভালবাসার আত্মহুতির করুণগাথা, কর্মজীবী নারীর রোজনামচা এবং আরো কয়েক ধরনের গল্প।