সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে নাগরিক অধিকার ও দায়িত্ব
মানুষ প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্যেই, সহজাতভাবেই মুক্ত, অবাধ থাকতে চায়। জন্মজাত রিপুর তাড়নে, ক্রীয়াশীল থাকতে চায়। সামাহীন ইচ্ছাকে পূরণ করতে চায়। জৈবিক ক্ষুধা নিবারণ করতে চায়। মানুষের এ চাওয়া অতলান্তিক, অপরিমিত। মানুষের অনিয়ন্ত্রিত চাওয়া এবং পরিণামে কাড়াকাড়ি, হানাহানি, হিংসা, হিংস্রতা, বর্বরতা মানুষের মধ্যযুগীয় জীবন ধারার কথা মনে করিয়ে দেয়। মধ্যযুগীয় সেই বর্বর, পাশবিক জীবনধারা থেকে মানুষ নিজের প্রয়োজনে, চেষ্টায় এবং বুদ্ধিমত্তায় বেরিয়ে আসতে পেরেছে একটি সভ্য মানবিক জীবন যাপনের কাঠামো নির্মাণ করতে পেরেছে। মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার ক্ষেত্র প্রশস্ত হওয়ার সাথে সাথে, মানুষ তার ইচ্ছাশক্তিকে চালিকাশক্তিতে পরিণত ক’রে, স্বপ্নকে একে একে ছুঁয়ে যাচ্ছে। মানুষ উন্নত থেকে উন্নততর জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। তার জ্ঞান-বুদ্ধির বিকাশ এবং প্রয়োগের মাধ্যমে নিজের ভেতরে থাকা পশুত্ব নিয়ন্ত্রন করে বিবেক বিবেচনা ও মানবিকতার মেলবন্ধনে একটি সুস্থ সহায়ক এবং সহযোগিতার বাতাবরণে আধুনিক সমাজ রাষ্ট এবং বিশ্বব্যবস্থা নির্মাণ করেছে মানুষ।